ইতিহাস
১৯৫০ সনে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ এবং প্রজাস্বত্ব আইন পাশের মাধ্যমে জমিদারী প্রথার বিলুপ্তির পর ভূমি রাজস্ব আদায় ও ভূমি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার রাজস্ব বিভাগ (Revenue Department) সৃষ্টি করে। তৎকালীণ রাজস্ব বিভাগকে সহায়তা করার জন্য প্রাদেশিক সরকারের অধীনে বোর্ড অব রেভিনিউ নামে একটি উচ্চ পর্যায়ের বোর্ড গঠন করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্যাদি সম্পাদনের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে কমিশনার, জেলা পর্যায়ে কালেক্টর (জেলা প্রশাসক), মহকুমা পর্যায়ে মহকুমা প্রশাসক, থানা পর্যায়ে সার্কেল অফিসার (রাজস্ব) ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তহসিলদারগণ ভূমি সংক্রান্ত কাজ করতেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সনে এ মন্ত্রণালয়ের নামকরণ করা হয় ভূমি প্রশাসন এবং ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়।
১৯৭৫ সনে এই মন্ত্রণালয়ের পুনঃনামকরণ করে রাখা হয় আইন ও সংস্কার মন্ত্রণালয় যার দুইটি বিভাগ ছিল যথাঃ
(ক) আইন এবং সংসদ বিষয়ক বিভাগ।
(খ) ভূমি প্রশাসন এবং ভূমি সংস্কার বিভাগ।
১৯৭৬ সনে এই মন্ত্রণালয়ের পুনঃনামকরণ করা হয় ভূমি প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সময়ায় মন্ত্রণালয়। ১৯৭৮ সনে পুনরায় পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় ভূমি প্রশাসন এবং ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়। ১৯৮২ সনে এই মন্ত্রণালয়ের নাম নতুনভাবে রাখা হয়। ভূমি সংস্কার আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৯৮৪ সালে পুনরায় এই মন্ত্রণালয়কে নামকরণ করা হয় ভূমি প্রশাসন ও ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে ০১/০৩/১৯৮৭ তারিখে নামকরণ করা হয় ভূমি মন্ত্রণালয়-যা এখনো বলবৎ আছে।
কার্যাবলী
১. সরকারের পক্ষে ভূমির অধিকার ও স্বত্ব সংরক্ষণ;
২. ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ ও আদায় এবং ভূমি প্রশাসন পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান;
৩. খাস জমি, অর্পিত ও পরিত্যক্ত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা;
৪. ভূমি জরিপ এবং ভূমির নক্সা ও রেকর্ড প্রণয়ন, সংরক্ষণ এবং প্রকাশ;
৫. অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সীমানা চিহ্নিতকরণ ও সীমানা পিলার মেরামত ও সংরক্ষণ;
৬. সায়রাত মহালের (জলমহাল, বালুমহাল, পাথরমহাল, চিংড়ীমহাল ইত্যাদি) ব্যবস্থাপনা;
৭. ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল সংক্রান্ত কাযক্রম;
৮. ভূমি সংস্কার ও ভূমি ব্যবহার নীতিমালা বাস্তবায়ন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস